সহমর্মিতা বাংলাদেশ বলতে যা বোঝায়
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মহান চিন্তা ও দর্শন-ই আমাদেরকে ‘সহমর্মিতা বাংলাদেশ’ আন্দোলন সূচনায় উদ্ধুদ্ধ করেছে।
Family Photography
24 hours
Photo Editing
12 hours
Mobile Photography
31 hours
সহমর্মিতা বাংলাদেশ’ ধারণাটি বাংলাদেশের ভূখন্ড থেকে সমগ্র মানবজাতির জন্যে একটি ভালোবাসাময় বিশ্ব তৈরীর পথ প্রশস্ত করার স্বপ্ন থেকে উৎসারিত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর চিন্তা ও দর্শন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ এবং ‘সামাজিক পুঁজি’ বিষয় তিনটি একে ওপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত হওয়ায় সব বিষয়কে সম গুরুত্ব দিয়ে আমরা এখান থেকে একটা বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলনের সূচনা করতে চাই।
বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-দর্শন বলতে আমরা যা বুঝি
সর্ব কালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেষ মুজিবুর রহমানের চিন্তা-দর্শন জানা ও বোঝার চেষ্টা করার মধ্যে দিয়ে আমরা নিজেরা-ই সবচেয়ে বেশি উপকৃত হতে পারি। বিশ্বের ইতিহাসে সম্ভবত কোন রাজনীতিবিদ এতো সাহস ও সততার সাথে মাটি ও মানুষের পক্ষে কঠিন কথা গুলো খুব সহজে বলতে পেরেছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর চিন্তা ও দর্শনের সবচেয়ে শক্তিশালী দিক হলো তিনি দেশের জন্য, বিশ্বের জন্য এবং মানবতার জন্য নিঃশর্ত ভালবাসার কথা একাধিক বার বলেছেন, বারং বার বলেছেন।
ভালোবাসা, মায়া-মমতার কথা আমরা সাধারণত দেখি কবি, সাহিত্যিক, ঔপন্যাসিকেরা বলে থাকেন কিন্তু রাজনীতিবিদেরা অন্য অনেক বিষয়ে কথা বললেও ‘ভালোবাসা’ বিষয়ে কদাচিৎ কথা বলেন। তবে আমাদের মহান নেতা দেশের প্রতি, জাতির প্রতি, মনুষ্যত্বের প্রতি, বিশ্ব মানবতার প্রতি তাঁর নিঃশর্ত ভালোবাসার কথা কতোবার যে ব্যক্ত করেছেন তা বলে শেষ করা যাবে না। এই বিষয়ে কয়েকটি উদাহরণ:-
- বঙ্গবন্ধু তাঁর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লিখেছেন ‘মানুষকে ব্যবহার, ভালোবাসা, ও প্রীতি দিয়েই জয় করা যায়। অত্যাচার, জুলুম ও ঘৃণা দিয়ে করা যায় না” (পৃষ্ঠা ২০০)।
- আর এক বার এক বিদেশী সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন ‘আমার জীবনের সবচেয়ে শক্তিশালী দিক হলো আমি আমার জনগণকে খুব ভালোবাসি, আর সবচেয়ে দুর্বল দিক হলো আমি তাঁদেরকে খুব বেশি ভালোবাসি’।
- একবার বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ‘জেল-জুলুম, হাজারো নির্যাতন-নিপীড়ন আমাকে টলাতে পারেনি কিন্তু মানুষের ভালোবাসা আমাকে বিব্রত করে তুলেছে’।
WHAT YOU’LL LEARN
LEVEL UP YOUR
PHOTOGRAPHY SKILLS
Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus,
luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.
LIFETIME ACCESS,
ANYWHERE, ANYTIME
Lorem ipsum dolor sit amet,
consectetur adipiscing elit.
100% SATISFACTION
GUARANTEE
Lorem ipsum dolor sit amet,
consectetur adipiscing elit.
STREAMING ACCESS ON
DESKTOP & MOBILE
Lorem ipsum dolor sit amet,
consectetur adipiscing elit.
নিবিড়-গভীর-শ্বাশত ভালোবাসা আর অন্যায়ের দৃপ্ত প্রতিবাদই হলো বঙ্গবন্ধুর চিন্তাধারা তথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আসলে কী? মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আসলে সমগ্র মানবজাতি নিয়ে ভাবনা এবং দেশকে গভীরভাবে ভালোবাসা। এ বিষয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি উক্তি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। তিনি বলেছেন:- ‘একজন মানুষ হিসাবে সমগ্র মানবজাতি নিয়েই আমি ভাবি।একজন বাঙালি হিসাবে যা কিছু বাঙালিদের সঙ্গে সম্পর্কিত তাই আমাকে গভীরভাবে ভাবায়। এ নিরন্তর সম্পৃক্তির উৎস ভালোবাসা, অক্ষয় ভালোবাসা’ – বঙ্গবন্ধু ।
‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ কথাটি আমাদের সমাজে বহুল ব্যবহৃত হলেও এটি বলতে প্রকৃত অর্থে কি বোঝায় তা অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। এ বিষযয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২ এর ‘প’ -তে যে সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে তা বিষয়টিকে স্পষ্ট করার জন্য যথেষ্ট কার্যকর হতে পারে-
‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ অর্থ যে সকল মহান আদর্শ আমাদের বীর জনগণকে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে আত্মনিয়োাগ ও বীর শহীদদিগকে প্রাণোৎসর্গ করিতে উদ্বুদ্ধ করিয়াছিল জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার সেই সকল আদর্শ’।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পর্কে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হলো “সবাইকে ভালোবাসা, সবাইকে ভালো রাখা। আদর্শিক জায়গায় সৎ থাকা। প্রেম, ভালোবাসা, সুন্দর কিছুর সমন্বয়। অপশক্তির বিরদ্ধে সবাই মিলে রুখে দাঁড়ানো” ২২ মার্চ ২০১৭, অধুনা, প্রথম আলো।
সামাজিক পুঁজি’ বলতে যা বোঝায়
- সামাজিক পুঁজি ‘ টার্মটি অ্যাকাডেমিক জগতে অতি সাম্প্রতিককালের হলেও সভ্যতার সূচনা কাল থেকেই মানব কল্যাণমুখী দার্শনিক, চিন্তাবিদ, সমাজকর্মী ও রাষ্ট্রনায়কদের ভাবনায়, কথায় এবং লেখায় তা জোরালোভাবেই উচ্চারিত হয়েছে।
- মানুষে মানুষে সহযোগিতা, সহমর্মিতা রোধ এবং সাথে আরো কিছুই হচ্ছে ‘সামাজিক পুঁজি’।
- মানুষের মধ্যে ভাতৃত্বরোধ, সংহতিরোধ, সহনশীলতা, সংবেদনশীলতা এবং সহমর্মিতারোধ এর মত গুনাবলী মানবসমাজ গঠন ও বিশাশে প্রধান সূচক হিসেবে কাজ করেছে।
- মানব প্রজাতির এই ইতিবাচক গুণাবলীর পাশাপাশি এর বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্যও তার মধ্যে আছে। তাই সামাজিক পুঁজি হলো মানুষের মানবিক উপাদান বিকাশের স্বার্থে সেগুলোর তাত্ত্বিক আলোচনা এবং এর চ্যালেঞ্জগুলো জানা ও বোঝার এক বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি।